অধ্যাপক
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ
সত্তর ও আশির দশকের ‘শাহনাজ কালাম’
সত্তর ও আশির দশকে ‘শাহনাজ কালাম’ লেখক নামে ছড়া ও গল্প লিখিয়ে হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১৯৬০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্ম। পৈতৃক নিবাস বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার গনাইসার গ্রামে। পিতা মরহুম মোসলেম চোকদার ও মা মরহুমা রেজিয়া বেগম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে যথাক্রমে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফারসি ভাষায় সার্টিফিকেট কোর্স সম্পাদন করেন। ১৯৮৫ সালে। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. অর্জন করেন ১৯৯৪ সালে। সত্তর ও আশির দশকে ‘শাহনাজ কালাম’ লেখক নামে ছড়া ও গল্প লিখিয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও পেশা জীবনে এসে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠক্রমভিত্তিক গ্রন্থ রচনা এবং শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ও প্রবন্ধ লেখায় বিশেষ মনোনিবেশ করেন। ড. শাহনাওয়াজের রচিত ও সম্পাদনাকৃত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। দুই যুগের বেশি সময়কাল ধরে তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে রাজনীতি ও সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ক কলাম লিখে আসছেন।
কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
বিশ্বসভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ বই
সভ্যতার পূর্বকথা, মিশরীয় সভ্যতা, মেসোপটেমীয় সভ্যতা, ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস, ভারতীয় সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা, বিশ্বসভ্যতা, বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবন।
বাংলার মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ বই
মুদ্রায় ও শিলালিপিতে মধ্যযুগের বাংলার সমাজ-সংস্কৃতি, আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে বন্দর, মধ্যযুগের বিশ্ব, প্রাচীন বিশ্বে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঢাকা- ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সমাজ রাজনীতির এক দশক
রয়েছে শিশু-কিশোরদের উপযোগী বই
ভারত- উপমহাদেশের ইতিহাস, মোগল মহলে, দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস, ইতিহাস ও ঐতিহাসিক, ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস, প্রাচীন পৃথিবী, মজার ইতিহাস, মানচিত্রে বাংলার ইতিহাস, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১, কিশোরদের বঙ্গবন্ধু, ৭ মার্চের ভাষণ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে বন্দর, ত্রয়জ্যোতির্ময় – শেখ মুজিব-বঙ্গবন্ধু- জাতির পিতা, আমার বাংলাদেশ- প্রাচীনযুগ, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ।
পত্রিকায় লেখালেখির ২৫ বছর!
বছর বারো আগে আমার এক পাঠক আবেগের তাড়নায় বলেছিলেন আমরা চাই আপনি আজীবন কলাম লিখে যান। আমি উত্তর করেছিলাম বেঁচে থাকলে বড়জোড় ২৫ বছর কলাম লিখবো। তিনি কারণ জানতে চাইলেন। বলেছিলাম আমার ধারণা আমার মত মুক্তচিন্তা ধারণ করে যারা লিখেন ২৫ বছর পর তাদের লেখার পরিবেশ তেমন থাকবে না। ইদানিং যখন লিখতে গিয়ে পরিবেশের কারণে হোঁচট খাচ্ছিলাম তখন হিসেব করে দেখলাম আমার কলাম লেখার ২৫ বছর চলছে!
– এ কে এম শাহনাওয়াজ
আশা নয়, প্রার্থনা করছি
২৩ জানুয়ারি ২০১৮- যুগান্তর‘আশা করি’ শব্দযুগল ব্যবহার না করে ‘প্রার্থনা করছি’...
সুবিধাবাদের দেয়াল ভাঙতে না পারলে সুশাসন অধরাই থেকে যাবে
১৬ জানুয়ারি ২০১৮ আমাদের মতো দেশে সরকারপ্রধানের আন্তরিকতা আর দেশপ্রেম থাকলেই...
র্যাগ ডে এবং র্যাগিং উৎসব থেকে উন্মত্ততা
২৮ জানুয়ারি ২০২০ আজ থেকে তিন দশক আগেও উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং নামের নেতিবাচক...
বাস মালিক ও শ্রমিকরা সরকারকে বিব্রত করছে
০১ নভেম্বর ২০২২ বিএনপি তাদের আন্দোলনের অংশ হিসাবে চার জেলায় চারটি সমাবেশ...
দলীয়করণে ক্ষতি হচ্ছে বেশি
২০ অক্টোবর ২০২২, দৈনিক যুগান্তর গল্প করছিলেন কোনো এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের...
তিনটি ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ চাই
১৩ এপ্রিল ২০২১, দৈনিক যুগান্তর লেখার শুরুতেই ঢাকার নবাবদের...
ভিন্ন ধারায় পথচলা
চমৎকার ছড়া লিখতেও তার দক্ষতা অসাধারণ!
গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে জাতীয় দৈনিকগুলোর কিশোর পাতায় শাহনাজ কালাম নামের ছড়া ও গল্প লিখিয়ে ছিলেন। সামান্য নাম ডাকও ছিল। তারপর শাহনাজ কালাম চিরতরে হারিয়ে গেলেন। নব্বইয়ের দশকে তাঁর জন্মান্তর হলো। এ কে এম শাহনাওয়াজ নামে শুরু হলো জীবন চলা। গবেষণা ও একাডেমিক লেখালেখিতে যুক্ত থাকলেন। কিন্তু তিনি যেন জাতিস্মর ছিলেন। পূর্ব জন্মের কথা মনে পড়তে থাকলো। বন্ধুদের উৎসাহে ছড়া লেখায় ফিরে আসতে চাইলেন। কোনো কোনো জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক বন্ধু হাতছানি দিলেন। কিন্তু আপাতত পত্রিকায় লেখার ইচ্ছে নেই তার। ফেসবুক বন্ধুরা বিরক্ত না হলে মাঝে মধ্যে অপটু হাতের আঁচর আঁকা যায়। এই প্রয়াসের কয়েকটি আঁচর।
স্ত্রী নিনা নাওয়াজের সঙ্গে ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ