১২ জানুয়ারি ২০২১, দৈনিক যুগান্তর
আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রায় সমবয়সি। ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। এরপর দীর্ঘ পথচলা। লাখ লাখ বছরের প্রাচীন প্লায়োস্টোসিন লাল মাটির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যঘেরা ক্যাম্পাসের একটি আলাদা মায়া রয়েছে।
গাছগাছালি, চিত্তাকর্ষক লেক আর উঁচু-নিচু ভূমি ক্যাম্পাসের ক্যানভাসে মায়াবী আঁচড় রেখেছে। অনেক কৃতী শিক্ষার্থী-শিক্ষকের বিচরণ ছিল এবং আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে তারা দেশের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের আনন্দ করার দিন-নতুন শপথ নেওয়ার দিন, আত্মজিজ্ঞাসারও দিন। কিন্তু সারা বিশ্বের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে যেমন করোনা উলটে দিয়েছে, তেমনি থমকে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে যেমন আনন্দ-উৎসব হয়ে থাকে, তা এবার স্বাভাবিক কারণেই হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ শিক্ষার্থীরাও কোভিডের কারণে ক্লাস ছুটি ও হল বন্ধ থাকায় এখন ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন। তাই বেশ ক’মাস অনেকটা নির্জীব ছিল ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসজুড়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করে কিছুটা উৎসবের আমেজ রাখতে চেয়েছে।
সব ছাত্র-শিক্ষকের ভালো লাগে যদি তারা জানেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে পারেন। শিক্ষার্থীরা নিজ মেধায় দেশ-বিদেশে নিজেদের আলোকিত অবস্থান নিশ্চিত করছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন দু-একজন বিজ্ঞানী শিক্ষক আছেন, যাদের কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মাননা রয়েছে। তাদের নিয়ে অহংকার করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে তাদের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের উচ্চতায় ওঠে, বিশেষ করে তার শিক্ষা গবেষণার উচ্চতা বিচারে। আমাদের দেশে এসব ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্মের বিবেচনায় যতটা সমৃদ্ধ, তা অনেক ক্ষেত্রে উন্মোচিত হয় না, তালিকাভুক্তও হয় না। অনেক গুণী শিক্ষক-গবেষক রয়েছেন যারা তাদের সৃষ্টির কথা বলে বেড়াতে পছন্দ করেন না। স্বীকৃতির আশায় কোথাও নিজেকে উপস্থাপন করেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরই সেল থাকা উচিত এসব গুণী ও তাদের কর্মের খোঁজ নেওয়া এবং তা যথা জায়গায় উপস্থাপন করা; কিন্তু এ ধারার একাডেমিক উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দেখা যায় না। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালকদের ব্যয় করার মতো অত ‘বাজে’ সময় থাকে না। গুণীরা তাদের কর্মে উজ্জ্বল হলেও আলোয় আসতে পারেন না দাপুটে শক্তিমানদের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মর্যাদা এ কারণে যথাযথ জায়গায় পৌঁছতে পারে না।
আজকাল প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ ও সংকীর্ণ রাজনীতির কারণে এক শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, যাদের খুব বেশি ক্লাস নেওয়ার সময় থাকে না। ক্লাস পারফরমেন্সে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়। গবেষণা তো কোনো ছার! প্রমোশনের জন্য কিছুসংখ্যক গবেষণাপত্র থাকা প্রয়োজন, তা মানসম্মত জার্নালে অনেক সময় প্রকাশিত হয় না। এ ধারার গবেষণাপত্র বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক জার্নালগুলোয় প্রকাশ পায় বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে লেখার গুণগত মান বিবেচনায় নয়, ‘মানবিক’ দিক বিচারেই মূল্যায়ন ও প্রকাশিত হয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক মান খুঁজে পাওয়া যাবে কোথায়! তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার জায়গাগুলো দরিদ্রতায় সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই শুধু শুধু বিশ্বমান খোঁজার বিলাসিতা করার মানে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এসব প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা সামনে চলে আসবেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলতে পছন্দ করে তাদের শিক্ষাঙ্গন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানত শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিচালিত হয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তেমন পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক প্রথিতযশা নাট্যকর্মী, সংগীতশিল্পী, বিতার্কিক বেরিয়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উজ্জ্বল করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় এ ধারার সংগঠনগুলোকে তেমনভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে না। রাষ্ট্রেরও সহযোগিতা নেই। অনেকেরই মনে থাকবে দেশজুড়ে জঙ্গি হামলা শুরু হলে সরকারপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাড়াতে উৎসাহিত করেছিল; কিন্তু আর্থিক সহযোগিতার জন্য কোনো বাজেট রাখেনি।
অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতার জন্য গেলে তারা তেমনটাই বলেন। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়, বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। আগে বড় একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে ব্যাংক আর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সরশিপ, বিজ্ঞাপন যতটা পাওয়া যেত তা এখন সিকিভাগে নেমে এসেছে।
করোনা আতঙ্কের শুরু থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছে। ক্যাম্পাসবাসীর ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া নয় মাস ধরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল একরকম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরকার সব দোকানপাট। তালাবদ্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাড়া সব গেট।
সারা দেশে এবং প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা কিছুটা ফিরে এলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কঠিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। এ কৃতিত্ব জাহাঙ্গীরনগর প্রশাসন পেতেই পারে। এ কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের উদ্যোগ নিলেও তাদের থমকে যেতে হয়েছে। আমরা মনে করি, বৃহত্তর কল্যাণ বিবেচনায় অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। আশা করব শিক্ষার্থীরাও বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে। প্রায় সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সপ্তাহে পাঁচ দিন খোলা থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে তিন দিন। প্রশ্ন থাকছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন দিন খোলা থাকা আর পাঁচ দিন খোলা থাকার মধ্যে তফাত কী? এতে বাস্তবে যা ঘটছে তাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজ সম্পাদনে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকেই।
সরকারি নির্দেশের আগে শ্রেণিকক্ষ বা হল খুলে দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না, এ কথা সবাই মানেন; কিন্তু প্রশাসনিক নানা প্রয়োজনীয় কাজের ধীরগতি অনেকের মনেই অস্বস্তি তৈরি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে সামনে রেখে প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাববেন-এটিই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অধিকাংশের চাওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী লকডাউন পরিস্থিতির কারণে হলে থাকতে পারছে না। স্নাতক চূড়ান্ত পর্ব ও স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থীরা মহাসংকটে রয়েছে। যদিও তাদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে; কিন্তু পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে সংকট রয়েছে। খুব স্বাভাবিক কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল খুলে দিতে পারছে না। কিন্তু এ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও চাকরির বাজারে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। তাই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বের লোকালয়ে বাসা ভাড়া করে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের ঘোষণা এসেছে।
এতে কিছুটা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটি এখনো খুলে দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের জন্য। আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিই শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। তবে বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরি খোলা আছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এদিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি ক্লাসরুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাইনাল পরীক্ষা নিচ্ছে।
অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত না থাকলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই উঠে গেছে। মানবিক বিবেচনায় ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ চিন্তায় হল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অলিখিতভাবে মেনে নিয়েছে। আমাকে একজন শিক্ষক জানালেন, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোনো খারাপ খবর তারা পাননি। এসব তথ্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর সামনে প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। ওদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রায়ই।
দুদিন আগে কয়েকজন ছাত্র এসেছিল আমার কাছে। ছাত্রদের অনেক সরল ধারণা থাকে। যেমন, আজকালকার ছাত্ররা মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বর্গসুখ ভোগ করে আর ওরা বঞ্চিত হয়। যেমন, ওরা জানে আমরা প্রায় বিনে পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে থাকি। ওদের যখন জানালাম বেতনের পঞ্চাশ শতাংশ ভাড়া হিসেবে কর্তন ও বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ চল্লিশ হাজারের বেশি টাকা প্রতি মাসে কেটে নেওয়া হয়, তখন ওরা আকাশ থেকে পড়ল।
বলল, পুরো সাভার অঞ্চলে কুড়ি হাজার টাকার ওপরে বাসা নেই, তাহলে এত টাকা নিচ্ছে কেন? আমি হেসে বললাম, এভাবেই শিক্ষকরা ভালো থাকেন! কিন্তু ওদের একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ল। বলল: স্যার, আমাদের শিক্ষা সহযোগিতা না করার প্রশ্নে লকডাউনের কথা বলছে প্রশাসন, তাহলে সারা দেশে সবকিছু প্রায় স্বাভাবিকভাবে চলছে কীভাবে? বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে ক্যাম্পাসের অন্যদের লকডাউন ভাঙাকে তো আপনারা মেনে নিয়েছেন।
কয়েক মাস আগে একজন প্রভাবশালী অধ্যাপকের বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অতি সম্প্রতি দু-দুটো বিয়ে অনুষ্ঠান কর্মচারী আবাসিক ভবনে হলো আড়ম্বরের সঙ্গে। লকডাউনের সব শর্ত ভেঙে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে বরযাত্রী এলো। কই, প্রশাসন কি কোনো বাধা দিয়েছে? আমার কাছে তথ্যগুলো পরিষ্কারভাবে জানা নেই বলে উত্তর দিতে পারলাম না।
আমরা জানি এ কোভিডকালীন অনেক সিদ্ধান্তই বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারে না। বিশেষ করে যেখানে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার রয়েছে। তবে এ দেশের মানুষ দীর্ঘদিন বন্দি থাকতে অভ্যস্ত নয়। সরকারও দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে না হলেও অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে মিল-কারখানা, অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্যের অঙ্গন অনেকটা স্বাভাবিক করে দিয়েছে। এতে যে করোনা পরিস্থিতির খুব অবনতি হয়েছে, পরিসংখ্যান তেমন বলছে না।
তবে মানুষ মাস্ক পরাসহ স্বাস্থবিধি মান্য করলে পরিস্থিতি আরও দ্রুত উন্নত হতে পারত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ না চাইলেও কঠিন লকডাউন পরিস্থিতি এখন আর তেমনভাবে ধরে রাখা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থান করা ছাত্রছাত্রীরা বিকালে ক্যাম্পাস মুখরিত করছে।
এভাবে ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। শীতের পাখি দেখতে আসা বহিরাগতদেরও তেমনভাবে আটকানো যাচ্ছে না। হয়তো এভাবেই সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে। প্রত্যাশা করি, করোনামুক্ত হয়ে আগামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আনন্দঘনভাবে উদ্যাপন করতে পারব।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়